
সম্প্রতি ‘পিএলওএস’ স্বাস্থ্য সাময়িকীতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, মানুষের আদর্শ স্বাস্থ্য ‘বডি ম্যাস ইন্ডেক্স’ বা (বিএমআই) প্রতি ১০ শতাংশ বৃদ্ধিতে ভিটামিন ‘ডি’ এর মাত্রা চার শতাংশ কমে যেতে পারে।
২১টি গবেষণা থেকে পাওয়া ৪২ হাজার মানুষের বংশগত তথ্য (জেনেটিক ডাটা) পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।
ভিটামিন ‘ডি’ দেহের ফ্যাটি টিস্যুতে সঞ্চিত থাকে। মোটা মানুষের দেহে অতিমাত্রায় ফ্যাট সঞ্চিত থাকার করণে রক্তে ভিটামিন ‘ডি’ সঞ্চালন বাধা পায়।
যাদের দেহে বিএমআই ৩০ বা তার ওপরে তাদেরকেই সাধারণত স্থূল বলে গণ্য করা হয়।
গবেষক দলের প্রধান ‘ইউনিভার্সিটি কলেজ অব লন্ডন’ এর ‘ইনস্টিটিউট অব চাইল্ড হেলথ’ এর শিক্ষক ড. ইলিনা হাইপোনেন বলেন, এ গবেষণা থেকে বোঝা যাচ্ছে যে, অতিরিক্ত ওজনের এবং মোটা মানুষদের দেহে ভিটামিন ডি এর ঘাটতির ওপর নজর রাখা এবং এর জন্য চিকিৎসা নেয়ার বিষয়টি কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
আমরা মূলত সূর্যালোক থেকে ভিটামিন ডি পাই। তাছাড়া, খাবারের মাধ্যমেও দেহে ভিটামিন ডি নেয়া যায়।
দেহে ভিটামিন ডি স্বাস্থ্যসম্মত পর্যায়ে রাখার মাপকাঠি হচ্ছে প্রতি লিটারে ৫০ ন্যানোমল। এটি ৩০ ন্যানোমলের নিচে নেমে গেলে মানুষের হাড় নরম বা দুর্বল হয়ে যেতে পারে।
এর ফলে শিশুদের ক্ষেত্রে রিকেট বা হাড়জনিত রোগ, এবং প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রেও নানারকম রোগ দেখা দিতে পারে।
ন্যাশনাল ওবেসিটি ফোরামের অন্যতম সদস্য অধ্যাপক ডেভিড হাসলাম বলেন, খাদ্যাভ্যাস এবং বংশগত দিক দু’টোই মানুষের মুটিয়ে যাওয়ার জন্য দায়ী।
তবে দৈহিক পরিশ্রম যেমন- হাঁটা, দৌড়-ঝাপ করা, শারিরীক কসরত এবং সূর্যস্নান করার মতো কাজগুলোর মধ্যদিয়ে মানুষ দেহের ওজন ঠিক রাখার পাশাপাশি ভিটামিন ‘ডি’র অভাবও দূর করা যায়—সেকথাই স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে গবেষণার এ ফল।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন