৩১ মার্চ, ২০১৩

বেকিং পাউডার

হয়তো ভাবছেন, বেকিং পাউডারের সাথে রূপচর্চার আবার কি সর্ম্পক? বেকিং পাউডার দিয়ে তো রান্না ঘরে মজার মজার খাবার তৈরি হয়। কিন্তু জেনে অবাক হবেন, রূপচর্চার ক্ষেত্রেও বেকিং পাউডারের রয়েছে অনেক উপকারী দিক। চলুন জানা যাক বেকিং পাউডারের উপকারিতা সর্ম্পকে।

ফেসওয়াস হিসেবে বেকিং পাউডার: ১ চা চামচ হালকা কুসুম গরম পানির সাথে ২ চা চামচ বেকিং পাউডার মিলিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। মুখ পানি দিয়ে ভিজিয়ে বেকিং পাউডারের পেস্ট মেখে হালকা করে কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করুন। দেখবেন মুখের ময়লা উঠে গিয়ে একটা ফ্রেস ভাব চলে এসেছে। 

ত্বকের মৃত কোষ পরিস্কার: বেকিং পাউডারের ত্বকের মৃত কোষ পরিস্কারে চমৎকার কাজ করে। দৈনন্দিন ক্লিনজারের সাথে বেকিং পাউডার মিশিয়ে কিছুক্ষণ মুখে ম্যাসাজ করুন। এতে ত্বকের মরা চামড়া পরিস্কারভাবে উঠে আসবে। ত্বক তৈলাক্ত হলে সামান্য পানি মিশিয়ে নিতে পারেন। 

পায়ের যত্নে বেকিং পাউডার: ব্যস্ততা অথবা অবহেলা, আমরা খূব কমই পায়ের যত্ন নিতে পারি। হালকা কুসুম গরম পানির সাথে বেকিং পাউডার মিশিয়ে কিছুক্ষণ পা ভিজিয়ে রাখুন। বেকিং পাউডারের পায়ের গোড়ালির মরা চামড়া তোলাসহ পায়ের ত্বককে করবে মসৃন। 

রোদে পোড়া ত্বক: রোদে পোড়া, কোচকানো ত্বককে কোমল ও মসৃন করতে বেকিং পাউডার অত্যন্ত কর্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে। প্রথমে একটি পাত্রে পানির সাথে বেকিং পাউডারের মিশিয়ে নিন। পরে একটি পরিস্কার কাপড় ওই পানিতে ভিজিয়ে তা দিয়ে হালকা ভাবে রোদে পোড়া ত্বক মুছে নিন। এতে রোদে পোড়া ত্বকে আরাম পাবেন আর ত্বকের কালো পোড়া দাগগুলো কিছু দিন পরে আর ত্বকে খুঁজে পাবেন না। 

ব্রণ: আপনার মুখে যদি ব্রণের সমস্যা থেকে থাকে তাহলেও ভয়ের কিছু নেই। প্রথমে মুখ ভালো ভাবে পরিস্কার করে নিন। তারপর পানি আর বেকিং পাউডারের পেস্ট মুখে মেখে ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। বেকিং পাউডার ব্ল্যাকহেডস পরিস্কারেও উপকারী। 

আজই রান্নাঘরে খোঁজ করুন বেকিং পাউডার আছে কিনা। না থাকলে, নিয়ে আসুন আর নিয়মিত ত্বকের যত্নে ব্যবহার করুন।

৩০ মার্চ, ২০১৩

মুটিয়ে গেলে দেহে ভিটামিন ডি এর অভাব ঘটতে পারে

স্থূলতা মানবদেহে ভিটামিন ডি’র মাত্রা কমিয়ে দিতে পারে। এমনই তথ্য বেরিয়ে এসেছে এক গবেষণায়।

সম্প্রতি ‘পিএলওএস’ স্বাস্থ্য সাময়িকীতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, মানুষের আদর্শ স্বাস্থ্য ‘বডি ম্যাস ইন্ডেক্স’ বা (বিএমআই) প্রতি ১০ শতাংশ বৃদ্ধিতে ভিটামিন ‘ডি’ এর মাত্রা চার শতাংশ কমে যেতে পারে।
২১টি গবেষণা থেকে পাওয়া ৪২ হাজার মানুষের বংশগত তথ্য (জেনেটিক ডাটা) পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।

ভিটামিন ‘ডি’ দেহের ফ্যাটি টিস্যুতে সঞ্চিত থাকে। মোটা মানুষের দেহে অতিমাত্রায় ফ্যাট সঞ্চিত থাকার করণে রক্তে ভিটামিন ‘ডি’ সঞ্চালন বাধা পায়।

যাদের দেহে বিএমআই ৩০ বা তার ওপরে তাদেরকেই সাধারণত স্থূল বলে গণ্য করা হয়।

গবেষক দলের প্রধান ‘ইউনিভার্সিটি কলেজ অব লন্ডন’ এর ‘ইনস্টিটিউট অব চাইল্ড হেলথ’ এর শিক্ষক ড. ইলিনা হাইপোনেন বলেন, এ গবেষণা থেকে বোঝা যাচ্ছে যে, অতিরিক্ত ওজনের এবং মোটা মানুষদের দেহে ভিটামিন ডি এর ঘাটতির ওপর নজর রাখা এবং এর জন্য চিকিৎসা নেয়ার বিষয়টি কতটা গুরুত্বপূর্ণ।

আমরা মূলত সূর্যালোক থেকে ভিটামিন ডি পাই। তাছাড়া, খাবারের মাধ্যমেও দেহে ভিটামিন ডি নেয়া যায়।

দেহে ভিটামিন ডি স্বাস্থ্যসম্মত পর্যায়ে রাখার মাপকাঠি হচ্ছে প্রতি লিটারে ৫০ ন্যানোমল। এটি ৩০ ন্যানোমলের নিচে নেমে গেলে মানুষের হাড় নরম বা দুর্বল হয়ে যেতে পারে।

এর ফলে শিশুদের ক্ষেত্রে রিকেট বা হাড়জনিত রোগ, এবং প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রেও নানারকম রোগ দেখা দিতে পারে।

ন্যাশনাল ওবেসিটি ফোরামের অন্যতম সদস্য অধ্যাপক ডেভিড হাসলাম বলেন, খাদ্যাভ্যাস এবং বংশগত দিক দু’টোই মানুষের মুটিয়ে যাওয়ার জন্য দায়ী।

তবে দৈহিক পরিশ্রম যেমন- হাঁটা, দৌড়-ঝাপ করা, শারিরীক কসরত এবং সূর্যস্নান করার মতো কাজগুলোর মধ্যদিয়ে মানুষ দেহের ওজন ঠিক রাখার পাশাপাশি ভিটামিন ‘ডি’র অভাবও দূর করা যায়—সেকথাই স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে গবেষণার এ ফল।

ঘরে লুকানো বিষক্ত রাসায়নিক!

গৃহস্থলী আসবাব পত্র, সোফা থেকে শুরু করে রান্নার হাড়িপাতিল পর্যন্ত, ওয়ালপেপার বা পর্দা ইত্যাদি দেখতে নিরাপদ মনে হলেও তাতে রয়েছে লুকানো আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বিষক্ত রাসায়নিক। এসব বিষক্ত রাসায়নিক আপানর এলার্জি হওয়া থেকে শুরু করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা পর্যন্ত কমিয়ে নানা অসুস্থতা যেমন ঠান্ডা বা সর্দিজ্বরে আক্রান্ত করে দিতে পারে।


বাসন-পত্র: 
সিরামিকের পাত্রের বদলে মেলাইমানের বাসন-পত্রে গরম খাবার খেলে বিষক্ত মেলামাইনও খাবারের সাথে ছড়িয়ে পড়ে সারা দেহে। তাছাড়া মেলামাইনের পাত্রে গরম খাবার খেলে কিডনি বিকল থেকে শুরু করে ক্যান্সারেরও ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। তাই গরম খাবার সিরামিকের পাত্রে খাওয়া উচিৎ।

সোফা: 
আপনার সোফার কাপড়ে ব্যবাহার করা হয় এমন কিছু রাসায়নিক পদার্থ যা আগুন ধরা থেকে মুক্ত রাখে। যা গৃহস্থলী ধুলাবালিতে মিশে এবং হাতে জড়িয়ে খাবারে মেশে। ওই বিষক্ত রাসায়নিকগুলো খাবারের সাথে আমাদের দেহে এন্ডোক্রাইন ডিজরাপশন থেকে শুরু করে যৌন স্বাস্থ্যেরও হানি ঘটায়। তাই ভেক্যুয়াম ডাস্ট ক্লিনার দিয়ে যতটা সম্ভব আপনার সোফাকে ধুলা মুক্ত রাখুন।

বাতি: 
যদিও আমরা কখনও ভাবি না যে বাতি থেকে বিষ ছড়াতে পারে। গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে লাইটের নিচে কাজ করলে পুরুষদের প্রোস্টেট এবং নারীদের স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি থাকে। রাতে লাইটের নিচে কাজ করলে দেহে হরমোন জনিত পরিবর্তন ঘটে এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি তৈরি করে। রাতে কাজ করার ফলে প্রোস্টেট, কোলন, ফুসফুস, ব্লাডার, এবং অগ্ন্যাশয়ের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়া সম্ভাবনা থাকে।

নন-স্টিক হাড়ি পাতিল: 
পিএফসি নামক এক ধরণের বিষক্ত রাসায়নিক রয়েছে এসব নন-স্টিক হাড়ি পাতিলে, যার গর্ভের শিশু থেকে বয়ষ্করা পর্যন্ত মেদবহুলতা এবং ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকে। এছাড়া রোগ শিশুর প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমিয়ে কমিয়ে দেয় এই রাসায়নিকটি।

২৭ মার্চ, ২০১৩

চুল তাত্ক্ষণিক ভাবে ঝলমলে করার একটা ছোট্ট টিপস

ডাবের পানি ও গ্লিসারিন একসঙ্গে মিশিয়ে, মিশ্রণটি চুলে লাগান, ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। চুল ঝলমলে হয়ে যাবে।

২৬ মার্চ, ২০১৩

ত্বকের যত্নে ময়েশ্চারাইজার

তকের যত্ন নিয়ে তরুণী-মহিলা-গৃহবধুদের দুশ্চিন্তার অন্ত নেই। সবাই চান সুন্দর মসৃণ কোমল ত্বক। ঠিক যেন কিশোরীর মত। ত্বকের ধরন বুঝে সামান্য যত্ন এবং প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেয়া গেলে ত্বক বিবর্ণ হওয়া, ত্বকে বাদামী স্পট পড়া, ত্বক কালো বর্ণ ধারণকরা, ত্বক রুক্ষ হওয়া ইত্যাদি কিছু সাধারণ সমস্যা থেকে রক্ষা করা যায়। প্রয়োজন হয়না অত্যন্ত ব্যয়বহুল লেজার ও অন্যান্য কসমেটিক চিকিৎসা। আর ত্বক সুন্দর রাখতে ত্বকের ধরণ বুঝে নিয়মিত ময়েশ্চেরাইজার ব্যবহার করা উচিত। এতে ত্বকের শুষ্কতা-রুক্ষ্মতা রোধ করে এবং ত্বক মসৃণ ও কোমল হয়। তবে অবশ্যই ত্বকের ধরন বুঝে ময়েশ্চারাইজার বা লোশন ব্যবহার করা উচিত। শুধু শুষ্ক তক বা তৈলাক্ত ত্বক বলাই যথেষ্ট নয়। ১৬ ধরনের ত্বক রয়েছে। আর ত্বক পরিচর্যায় শুধু নামী-দামী ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে তাই নয়, সামান্য অলিভ অয়েল বা সাদা ভ্যাসলিন বা ভ্যাসলিন লোশন ব্যবহার করতে পারেন। সামান্য পরিমাণ সাদা ভ্যাসলিন বা ভ্যাসলিন লোশন মুখ ও ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বক মসৃণ ও কোমল হয়। ভ্যাসলিনের সঙ্গে কিঞ্চিত পানি মিশিয়ে নিতে পারেন, যদিও ভ্যাসলিন-পানি একসঙ্গে মেশানো খানিকটা কঠিন।

ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি

সহজ কিন্তু উপকারী একটি প্যাক-

কলা ও মুলতানী মাটি একসঙ্গে পেস্ট করে সেটা চেহারা ও গলার ত্বকে ১০ মিনিট ধরে লাগিয়ে রাখুন। ত্বকে উজ্জ্বলতা আসবে। দাগ দূর হবে।

২৪ মার্চ, ২০১৩

How foods affect our bodies


গরমে ত্বকের যত্ন

ভ্যাপসা গরমে জনজীবন অস্থির। শরীর- মনের সঙ্গে ত্বকের অবস্থাও নাজুক। তবে হাত পা গুটিয়ে বসে থাকলে হবে না, প্রয়োজন বাড়তি যত্ন।

সারা বছরই  ত্বকের যত্ন নিতে হয়। তবে গরমকালে এটি বাধ্যতামূলক। কারণ এ সময় ঘাম বেশি হয়। বাতাসে ধুলা ময়লাও  বেশি থাকে। ফলে এই সময়টায় ত্বক ঠিক রাখতে একটু সচেতন আপনাকে হতেই হবে। অনেকেই অলসতা করে ত্বকের বিষয়ে উদাসীন থাকেন। তার ফলাফল কিন্তু খুব ভালো হয় না। ত্বকে ব্রন ও র‌্যাশ দেখা দেয়।

সব সময় পার্লারে গিয়ে ত্বকের সঠিক যত্ন নেওয়ার সময় হয়ে ওঠে না। তাই ঘরে বসে কেমন করে ত্বক সজিব, প্রাণবন্ত থাকবে তার কিছু পরামর্শ দেওয়া হলো:

সর্ব প্রথম ত্বক পরিস্কার রাখতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।
বাইরে থেকে ফিরে নিয়মিত ত্বক পরিস্কার করতে হবে।

বেড় হওয়ার সময় অবশ্যই সানস্ক্রিন লাগিয়ে নিন।


সপ্তাহে অত্যন্ত দুই দিন ঘরে তৈরি প্যাক লাগাতে হবে। এতে করে ত্বকের ভেতরের ময়লা দূর হয়ে ত্বকের উজ্বলতা ফিরে আসবে।

২ চামচ ময়দা, ১ চামচ মধু এবং পাকা কলার মাক্স লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

এসময় প্রচুর মৌসুমী ফল পাওয়া যায়। খাওয়ার পাশাপাশি ত্বকেও লাগাতে পারেন তরমুজের রস এবং অন্যান্য ফল।

ভালো মানের ফেস ওয়াস ব্যবহার করুন।

সপ্তাহে ২ থেকে তিন দিন স্ক্রাব লাগান। চালের গুড়া ভালো প্রাকৃতিক স্ক্রাবের কাজ করে।

২২ মার্চ, ২০১৩

Hair Care


চুলের জন্য দিওয়ানা:
  • যতোবার প্রয়োজন শ্যাম্পু করতে থাকুন। সপ্তাহে দু’বার রাতে অলিভ অয়েল লাগিয়ে সকালে শ্যাম্পু করে ফেলুন যা চুলের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করবে।
  • চুলের পুষ্টির জন্য প্রোটিন সমৃদ্ধ কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।
  • চুল বেশি শুষ্ক ও ভঙ্গুর হলে নিয়মিত নারকেল তেল হালকা গরম করে ম্যাসেজ করুন। এতে করে চুলের গোড়ায় রক্ত সঞ্চালন ভাল হবে।
  • শুষ্ক চুলের জন্য ভিটামিন ই, অ্যালোভেরা সমৃদ্ধ শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে।
  • তৈলাক্ত চুল শ্যাম্পু করার সময় হালকা করে ঘষুন। বেশি ঘষলে চুল তেল তেলে হয়ে যাবে।
  • ঘন ক্রিমের মতো শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন না। প্লেইন শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। শ্যাম্পু দেখতে ট্রান্সপ্যারেন্ট হলে বুঝবেন এটা প্লেইন শ্যাম্পু।
  • কন্ডিশনার ব্যবহারের ক্ষেত্রে চুলের শেষ প্রান্তে লাগাতে পারেন।

স্বাভাবিক চুল
  • স্বাভাবিক চুলের জন্য ন্যাচারাল শ্যাম্পু ব্যবহার করুন।
  • চুলের পুষ্টির জন্য ডিম, দই ফেটিয়ে চুলের গোড়ায় লাগিয়ে আধা ঘন্টা রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন।
  • শ্যাম্পু করার ঘন্টা খানেক আগে ঢেলে কুসুম কুসুম গরম করে লাগান। এতে করে লোমকূপগুলো খুলে যাবে এবং ময়লাগুলো খুব সহজেই বের হবে।

সিল্কি চুলের
  • শ্যাম্পু করার পর ভিনেগার মেশানো পানিতে চুল ধোবেন।
  • চাল ধোয়া পানিতে বেসনগুলে চুলে লাগান। কয়েক মিনিট পর ভাল করে ধুয়ে ফেলুন।
  • শ্যাম্পু করার পর লেবুর রস দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এর ফলে চুল সিল্কি হয়ে উঠবে এবং চিটচিটে ভাবও দূর হবে।

খুসকিকে ‘না’ বলার উপায়
  • শ্যাম্পু করার পূর্বে ভেজা চুলে লবণ ঘষে নিন।
  • রাতে শোওয়ার আগে লেবুর ও আমলকীর রস মিশিয়ে মাথায় লাগিয়ে শ্যাম্পু করুন।
  • টক দইয়ের সঙ্গে লেবুর রস ও নিম পাতার রস মিশিয়ে মাথায় লাগান এবং আধ ঘন্টা পর শ্যাম্পু করুন।
  • সারারাত পানিতে মেথি ভিজিয়ে বেটে চুলের গোড়ায় লাগিয়ে আধ ঘন্টা পর শিকাকাই শ্যাম্পু বা রিঠে দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
  • নারকেল তেল ও কর্পূর গরম করে মাথায় লাগান। এক ঘন্টা রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন।
  • খুশকি দূর করতে পেঁয়াজের রস বেশ কার্যকরী। পেঁয়াজের রসে থাকা সালফার খুশকির বিপরীতে দারুণ কার্যকরী। পেঁয়াজ ব্লেন্ড করে এর রস মাথায় লাগিয়ে ১ ঘন্টা পর শ্যাম্পু করে ফেলুন।
  • ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে লেবুর রস, নিমপাতার রস ও আদার রস এক সঙ্গে মিশিয়ে চুলের গোড়ায় লাগান। আধ ঘন্টা পর শ্যাম্পু করুন।

চুলের কিছু এক্সক্লুসিভ টিপস্
  • লেবু, কিউয়ি সমৃদ্ধ শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। ফ্রুট অ্যাসিড চুলের তেলতেলে ভাব ও ময়লা পরিষ্কার করে। চুলকে সজীব করে তোলে।
  • গ্লাসে বিয়ার ঢেলে রেখে দিন। এবার এ ফ্ল্যাট বিয়ার শ্যাম্পু করার পর পুরো চুলে ভাল করে লাগান। বিয়ার লাগানোর পর চুল ধোয়ার প্রয়োজন নেই কারণ বিয়ারের গন্ধ এমনি এমনিই চলে যাবে।
  • ভিটামিন বি সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খান। বিশেষ করে ফল, শাকসবজি।
  • ডিম, বাঁধা কপিতে ভিটামিন বি’র সঙ্গে সঙ্গে সালফারও থাকে যা খুশকি দূর করার জন্য উত্তম।
  • মাঝে মাঝে শ্যাম্পুর সঙ্গে দু’টো ভিটামিন-ই ক্যাপসুল মিশিয়ে নিন।
  • মাথা ম্যাসেজ করার সময় নখ দেবেন না।

২০ মার্চ, ২০১৩

স্তন ক্যান্সার : মেয়েদের সর্বাধিক ভীতিকর রোগের মধ্যে একটি


মেয়েদের সর্বাধিক ভীতিকর রোগের মধ্যে স্তন ক্যান্সার একটি। আসুন জেনে নেই এই স্তন ক্যান্সার সম্বন্ধে কিছু তথ্য:
  • স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত সবচে ছোট বয়সী মেয়ে Aleisha Hunter, সে মাত্র ৩ বছর বয়সে আক্রান্ত হয়।
  • প্রথম যে অপারেশনের জন্য এনেস্থেসিয়া ব্যবহার করা হয়েছিল তা ছিল স্তন ক্যান্সারের জন্য অপারেশন যা Mastectomy নামে পরিচিত।
  • উন্নত দেশগুলোতে অনুন্নত দেশগুলোর চেয়ে স্তন ক্যান্সারের হার বেশি।
  • বাঁদিকের স্তনে সর্বদা স্তন ক্যান্সার বেশি হয় । বিজ্ঞানীরা এখনও জানেন না কেন।
  • এপর্যন্ত আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে সবচে বেশি স্তন ক্যান্সারের রোগী পাওয়া গেছে।
  • প্রথম Mastectomy সার্জারি করা হয় ৫৪৮ খ্রিষ্টাব্দে। বাইজানটাইন সাম্রাজ্যের রানীর জন্য।
  • মায়ের স্তন ক্যান্সার থাকলে মেয়ের হবে এমন কোন কথা নেই
  • ৯৭% স্তন ক্যান্সার ৪০ বছর বা তার বেশি বয়সে হয়।
  • ফর্সা মেয়েদের কালো মেয়েদের থেকে বেশি স্তন ক্যান্সার হয়।
  • প্রেগন্যান্ট অবস্থায় স্তন ক্যান্সার হলে বাঁচার সম্ভাবনা কম থাকে।
  • ছেলেদেরও স্তন ক্যান্সার হতে পারে । তবে তা মেয়েদের সংখ্যার তুলনায় মাত্র ১% 
  • স্তন ক্যান্সারকে মাঝে মাঝে Nun's Disease বলা হয় । নানদের মধ্যে এর প্রকোপের কারনে
  • বাচ্চাকে স্তন্যদান করানো স্তন ক্যান্সারের ঝুকি অনেকাংশে কমিয়ে দেয়।
  • যথেচ্ছা এন্টিবায়োটিক খাওয়া স্তন ক্যান্সারের ঝুকি বৃদ্ধি করে।
  • যাদের স্তন বেশি বড় তারা স্তন ক্যান্সারের বেশি ঝুকিতে থাকে।
  • যারা রাতে ওভারটাইম ডিউটি করে তাদের স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বেশি থাকে।
  • স্তন ক্যান্সারের সাথে যাদের ডায়াবেটিস থাকে তাদের মৃত্যুহার বেশি।
  • যৌনমিলনে স্বাভাবিকের চেয়ে কম অংশ নিলে স্তন ক্যান্সার এর ঝুকি বেড়ে যায়।
  • বাঁহাতি মহিলাদের স্তন ক্যান্সার বেশি হয়।
  • ছেলেদের স্তন ক্যান্সারের কারণগুলার মধ্যে আছেঃ
    • Klinefelter's Syndrome
    • অণ্ডকোষে সমস্যা
    • জিন মিউটেশন
    • ফ্যামিলিতে কারো থাকলে
    • লিভারে বড় ধরনের সমস্যা
    • রেডিয়েশন এর মধ্যে থাকলে
    • Estrogen-related drug সেবন করলে
    • অতি স্থুলতা

শুক্রাণু ধ্বংস করে ওয়াই-ফাই ল্যাপটপ

ল্যাপটপ কোলের ওপর বা শরীরের কাছাকাছি ব্যবহার করায় ক্ষতির আশংকা করছেন গবেষকরা। এ বিষয়ে সাম্প্রতিক এক গবেষণার ফল বলছে ওয়াই-ফাই প্রযুক্তির ল্যাপটপ ব্যবহারে শুক্রাণু সংখ্যা কমে যেতে পারে। খবর টেলিগ্রাফ অনলাইন-এর।


ল্যাপটপ যে তাপ তৈরি করে তাতে যে ক্ষতি হয় তার চেয়েও ওয়াই-ফাই সিগনালযুক্ত ল্যাপটপ ব্যবহারে ক্ষতির মাত্রা বেশি হয় বলেই গবেষকদের মত।

যুক্তরাষ্ট্র এবং আর্জেন্টিনার গবেষকদের করা এক গবেষণায় দেখা গেছে, ওয়াই-ফাই সিগনাল শুক্রাণুর ওপর প্রভাব ফেলে এবং জেনেটিক কোডেও পরিবর্তন করতে পারে।

গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছে ‘ফার্টিলিটি অ্যান্ড স্টেরিলিটি’ সাময়িকীতে।

গবেষকদের মতে, ওয়াই-ফাই প্রযুক্তি থেকে যে ইলেকট্রোম্যাগনেটিক তেজস্ক্রিয়া নির্গত হয় তার প্রভাব পড়ে শুক্রাণুতে। এর ফলে, শতকরা ২৫ ভাগ শুক্রাণু নড়াচড়া করতে পারে না এবং ৯ ভাগের ডিএনএ পরিবর্তন হয়ে যায়।

গবেষকরা জানিয়েছেন, ওয়াই-ফাই ব্যবহার করে দীর্ঘক্ষণ ডাউনলোড করা বা অতিরিক্ত গরম হওয়া ল্যাপটপে এ সমস্যা তৈরি হতে পারে। তবে, ঠিক কোন মডেলের ল্যাপটপে বেশি সমস্যা হয় সে বিষয়ে গবেষণা প্রয়োজন বলেই গবেষকরা জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, কোলের ওপর ল্যাপটপ ব্যবহার করলে অতিরিক্ত তাপে শুক্রাণুর ক্ষতি হতে পারে এমন আশঙ্কার কথা গবেষকরা আগেই জানিয়েছিলেন।

১৯ মার্চ, ২০১৩

Soft Skin

আপনি নিখুঁত, তরুণ্যভরা, ব্রণমুক্ত, উজ্জ্বল কোমল ত্বক চান? তবে আজ থেকেই শুরু করুন নিয়মিত যত্ন নিতে। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চেহারাকে সুযোগ দিন মিষ্টি হেসে আপনাকে ধন্যবাদ জানাতে। আর নিজেকেই খুঁজে নিন নতুন রূপে:

মশ্চারাইজার: আপনার ত্বকের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে নিয়মিত ভাল মানের মশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।

হাসি: হাসতে ভুলে যান নি তো, মনে করে দেখুনতো কবে মন খুলে হেসেছেন? জানেন তো হাসি শ্রেষ্ঠ ওষুধ। মনে রাখবেন সমবয়সী হলেও যারা সারাক্ষণ গম্ভীর মুডে থাকে তাদের চেয়ে হাসিখুশি থাকাদের দেখতে অনেক ছোট লাগে।


ব্যায়াম: দৈনন্দিন রুটিনে একটি নির্দিষ্ট সময় সহজ কিছু ব্যায়ামের জন্য বরাদ্দ করে দিন। সারা দিন ব্যস্ততার জন্য সময় না পেলে রাতে খাওয়ার পরে হাঁটুন।

পানি: ত্বক সতেজ এবং সুন্দর রাখতে হলে আদ্রতা রক্ষা করতে হয়। পানির প্রয়োজনীয়তা নিশ্চয় আর নতুন করে বলতে হবে না বন্ধুদের। তাই শরীর এবং ত্বকের সুস্থতায় প্রতিদিন যত বেশি সম্ভব পানি পান করুন।

ফেসওয়াশ-সানস্ক্রিন প্রতিদিন: ত্বকে ময়লা জমেই ব্রণ হয়, রোদে পুড়ে কালো ছোপ পড়ে আরও কতো সমস্যা! প্রতিদিন অন্তত দুইবার ভালো কোম্পানির ফেসওয়াশ দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করতে হবে। আর বাইরে যাওয়ার সময় অথবা ঘরে রান্নার সময়ও সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।

স্ক্র্যাব: মরা কোষ সরিয়ে ত্বক কোমল ও মসৃণ করতে সপ্তাহে দুইদিন স্ক্র্যাব ব্যবহার করুন। চাইলে ঘরোয়া পদ্ধতিতে ত্বকে স্ক্র্যাব করতে পারেন। এজন্য চিনি, লেবুর রস এবং অলিভ অয়েল দিয়ে মাস্ক তৈরি করে নিন। এবার কিছুক্ষণ এই মিশ্রণ দিয়ে ত্বক ম্যাসাজ করে ধুয়ে নিন। চালের গুঁড়াও স্ক্র্যাব হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।

চাপমুক্ত থাকুন: সারাক্ষণ মানসিক চাপ আমাদের শরীর এবং মনের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। কোনো কিছু করতেই আগ্রহ বোধ করি না। যে সুযোগে অবহেলায় আমাদের ত্বকেরও বারোটা বাজে। মানসিক চাপ তাড়াতে চেষ্টা করুন এমন কিছু করতে যা আপনাকে সত্যিই আনন্দ দিতে পারে।

ডায়েট: আমাদের ত্বক এবং স্বাস্থ্য দুটোর সুস্থতার অনেকখানি নির্ভর করে খাদ্যাভাসের ওপর। আর তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় স্বাস্থ্যকর খাবার রাখুন।

ঘুম: সঠিক বিশ্রাম না হলে শরীরের মতো আমাদের ত্বকেরও অবস্থা নাজুক হয়ে যায়। কারণ ঘুমের মধ্যেই আমাদের ত্বকের কোষগুলো ক্ষতি পুষিয়ে পরের দিনের জন্য তৈরি হয়। প্রতিদিন অন্তত আট ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন।

ওমেগা থ্রি: শুধুমাত্র হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতেই ওমেগা থ্রি তেল কার্যকর নয়। চর্মরোগবিশেষজ্ঞরা শুষ্ক রুক্ষ ত্বকের মসৃণতা বাড়াতেও এটি ব্যবহারের পরামর্শ দেন।

চোখ: আমাদের অনেকেরই ত্বকের অন্য অংশের চেয়ে চোখের চারপাশের ত্বক কালো থাকে। অনেক সময় অত্যন্ত স্পর্শকাতর এই ত্বক কুঁচকেও যায়। চোখের ত্বকের ডার্ক সার্কেল ঠিক করতে প্রতিদিন রাতে ভাল মানের আই ক্রিম ব্যবহার করুন। ঘরের প্রাকৃতিক উপাদানও ব্যবহার করতে পারেন চোখের কালো ও ক্লান্তিভাব দূর করে সতেজ প্রাণোচ্ছল দেখাতে, আলু বা শশা থেঁতো করে চোখের ওপর দিয়ে ৩০ মিনিট শুয়ে থাকুন। এই সমস্যা থেকে মুক্তির আরেকটি মজার সমাধান আছে, ছোট চায়ের চামচ ফ্রিজে রেখে চোখের চারপাশে চেপে চেপে ধরুন যতক্ষণ পর্যন্ত এটি স্বাভাবিক তাপমাত্রায় না আসে।

কোমল ঠোঁট: কোমল মসৃণ ঠোঁটের জন্যও আমাদের কিছু ঘরোয়া টিপস জেনে রাখলে কাজে দেবে। যেমন, ঠোঁটের কালো ভাব দূর করতে কাঁচা দুধ তুলায় নিয়ে প্রতিদিন কয়েকবার আলতো করে ঘষে কিছুক্ষণ পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ঠোঁট মসৃণ করতে দুধের সর ও চিনি দিয়ে প্রতিদিন মাত্র দুই মিনিট ম্যাসাজ করুন, চমৎকার ফলাফল পাবেন। ঠোঁটে পেট্রেলিয়াম জেলি মেখে তার ওপরে চিনি দিয়ে স্ক্র্যাব করুন। একবার ব্যবহারেই পার্থক বুঝতে পারবেন।

বন্ধুরা কিছুক্ষণ সময় নিজের জন্য রাখুন একটু সচেতন হোন। সুপার সফট স্কিন তো মাত্র কয়েক দিনেই এসে যাবে।