২৯ জুন, ২০১৩

রাগ নিয়ন্ত্রণের ১০টি কৌশল


রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখার কোন বিকল্প নেই। মানুষের সাথে মানুষের সম্পর্ক খারাপ হয়ে যেতে পারে যেসব কারণে তার মধ্যে রাগ অন্যতম। রাগ মুহূর্তেই বাড়িয়ে দিতে পারে দু'বন্ধুর মধ্যকার দূরত্ব। হঠাৎ করেই আপনাকে একা করে দিয়ে হারিয়ে যেতে পারে আপনার কাছের মানুষগুলো। আর তাই এই রাগকে রাখতে হবে নিয়ন্ত্রণে। অযথা রাগ না করে ঠান্ডা মাথায় ভাবলে অনেক সমস্যারই সমাধান করা যায় খুব সহজেই। মাত্র ১০টি পন্থা অবলম্বন করে আপনি শিখে নিতে পারেন আপনার এই রাগ নিয়ন্ত্রণের কৌশলগুলো—

  1. মনকে শান্ত রাখার চেষ্টাকরুন। এক থেকে দশ পর্যন্ত উল্টো করে গুনতে পারেন। তাহলে মস্তিস্ককে কিছুটা অন্যদিকে ব্যস্ত রাখা যাবে।
  2. হুট করে কোনো কথা বা কাজ করে বসবেন না, সময় নিন। প্রয়োজন হলে সেই মানুষটার সাথে কিছুক্ষণ কথা বন্ধ রাখুন অথবা রাগের কারণটি থেকে নিজের মনকে অন্যদিকে সরিয়ে নিন।
  3. যখন আপনি শান্ত হয়ে গেলেন, এবার আপনার রাগের কারণগুলো তার সামনে তুলে ধরুন। ততক্ষণে অপরজনের মাথাও ঠান্ডা হয়ে যাবে, সেভালোভাবে আপনার কথা বুঝতে পারবে।
  4. এক্সারসাইজ করতে পারেন, হাঁটাহাঁটি অথবা ওয়েট লিফটিং করতে পারেন।
  5. আপনি যখন রেগে আছেন স্বাভাবিকভাবেই আপনার মধ্যে নমনীয়তা কাজ করবে না, আর তাই হঠাৎ করে এমন কিছু কথা বলে ফেলতে পারেন যা অন্যের কষ্টের কারণ হতে পারে, তাই কোনো কথা না বলাই ভালো।
  6. যেকোনো সমস্যার সমাধান অবশ্যই আছে, একটু ঠান্ডামাথায় চিন্তা করলেই সেটা বের করা যায়।
  7. নিজেকে নিয়ে বেশি হিসাব করতে গেলে রাগ আরও বাড়বে। তাই তাত্ক্ষণিক ব্যাপারটা মেনে নিলে সমস্যা অনেকটা কমে যায়।
  8. টেনশনে সিগারেট জাতীয় কিছু খাওয়া ঠিক না, তাতে মনটা আরও বিক্ষিপ্ত হয়ে উঠে।
  9. টেনশন কমানোর জন্য খানিকটা হাসি-ঠাট্টা করা যেতে পারে, তাতে মনটা হালকা হয়ে যায়।
  10. এছাড়া মেডিটেশন করতে পারেন।

১৬ জুন, ২০১৩

রাতে ঘুম না এলে কি করবেন


সারা দিন কঠোর পরিশ্রম করেছেন। সকাল হলেই আবার ছুটতে হবে কাজে। কিন্তু ঘুম আসছে না কিছুতেই? কী করবেন তখন? এজন্য—

  • বাইরে থেকে ফিরে প্রথমেই গোসল সেরে নিন। সারা দিনের ক্লান্তি এক নিমিষে চলে যাবে।
  • সন্ধ্যার পরই চা-কফি খাওয়া বন্ধ করে দিন।
  • ঘুমোতে যাওয়ার বেশ কিছুক্ষণ আগে টিভি, কম্পিউটার বন্ধকরুন।
  • পরের দিনের কাজের পরিকল্পনা আগেইকরে ফেলুন, টেনশনে ঘুম নষ্ট হবে না।
  • ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত দুই ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খেয়ে নিন।
  • রাত ১০-১১টার মধ্যেই ঘুমোতে যান। এ সময় বিছানায় গেলে ভালো ঘুম হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
  • বিছানা আর শোবার ঘর যেন আরামদায়ক হয়। বেশি গরম বা বেশি ঠাণ্ডা যেন না হয় এবং সেখানে যেন বেশি আওয়াজ না হয়।
  • নিয়মিত এক্সারসাইজ করুন। হাঁটা বা সাঁতার কাটা শরীরের জন্য ভালো।
  • প্রিয় জীবনসঙ্গীর সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখুন, সারা দিনে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন বিষয় শেয়ার করুন।
  • চেষ্টা করুন দুশ্চিন্তা না করার।
  • সব ধরনের মাদক থেকে দূরে থাকুন।
  • বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ছাড়া ঘুমের ওষুধ খাবেন না।
  • যদি ঘুম না আসে, জোর করে ঘুমানোর চেষ্টানা করে উঠে বই পড়ুন, টিভি দেখুন অথবা পছন্দের গান শুনুন।
  • সুযোগ পেলেও দিনে বেশি সময় ঘুমাবেন না।
  • ঘরে বেশি আলো ঢুকে যেন ঘুমে ব্যাঘাত না ঘটায় তা নিশ্চিত করুন। প্রয়োজনে ভারী পর্দা ব্যবহার করুন।
  • শোবার ঘরটি অযথা একগাদা জিনিস দিয়ে ভরে রাখবেন না।
  • বিশেষজ্ঞরা বলেন, একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির প্রতিদিন অন্ততছয় ঘণ্টা গভীর ঘুম হতে হবে। বন্ধুরা এত কিছু করার পরও যদি ঘুমের সমস্যা না যায়, তবে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

৮ জুন, ২০১৩

টুথপেস্টের ভিন্ন ব্যবহার

  • পেঁয়াজ বা এই ধরনের গন্ধযুক্ত কিছু কাটার পরে দুর্গন্ধ দূর করতে হাতে টুথপেস্ট মাখুন।
  • অনেক শখ করে কেনা আপনার লেদারের জুতাতে যখন কোন দাগ পড়ে,তখন হয়তো আপনার মনেও দাগ পড়ে।চিন্তা নেই, অল্প একটু টুথপেস্ট পারে তা দূর করতে।দাগ পড়া জায়গাতে টুথপেস্ট লাগান তারপর একটি ভেজা নরম কাপড় দিয়ে সেই জায়গাটি পরিষ্কার করে নিন। দেখবেন আপনার জুতা চকচক করছে।
  • বাচ্চাদের দুধ খাওয়ার বোতলে মানে ফিডারে টক গন্ধ হওয়া খুব স্বাভাবিক একটা ঘটনা।কিন্তু টুথপেস্ট থাকলে এই দুর্গন্ধ দূর করা এক নিমিষের ব্যাপার। ফিডারের ভেতরটা টুথপেস্ট দিয়ে খুব ভালভাবে ধুয়ে নিন। তবে অবশ্যই লক্ষ্য রাখবেন যাতে ফিডারের ভেতরে টুথপেস্ট জমা না থাকে।
  • আপনি যদি ব্রণের সমস্যায় ভুগেন,তাহলে আক্রান্ত স্থানে নন-জেল এবং নন হোয়াইটেনিং টুথপেস্ট লাগিয়ে রাতে ঘুমাতে যান। টুথপেস্ট ব্রণের জলীয় অংশ শুষে নেয় এবং তেল টেনে নেয়।তবে একটা ব্যাপারে সতর্ক না হলেই নয়।আপনার ত্বক টুথপেস্টের ব্যাপারে সংবেদনশীল হতে পারে।তাই প্রথমে ত্বকের ক্ষুদ্র অংশে প্রয়োগ করুন।
  • আপনি যদি কাঠের কাজ,স্কুবাডাইভিং বা স্কিং করেন তবে চশমার অস্বচ্ছ গ্লাস আপনার জন্য বিরক্তির সেই সাথে বিপদজনকও হয়ে উঠতে পারে। এই ধরনের সমস্যা এড়াতে গগলসের গ্লাসটি টুথপেস্ট দিয়ে ভালভাবে পরিষ্কার করে নিন।
  • এছাড়াও আপনার কিবোর্ডের(অবশ্যই কম্পিউটারের নয়,বাদ্যযন্ত্রের) উজ্ঝলতা বাড়াতে টুথপেস্ট ব্যবহার করতে পারেন
  • দাঁত ব্রাশ করা ছাড়া টুথপেস্ট আর যে কাজের জন্য সবচাইতে বেশি ব্যবহার করা হয়,তা হচ্ছে পোড়া যাওয়া জায়গায় ব্যবহার করা। এটি ফোস্কা পড়া প্রতিরোধ করে।
  • একইভাবে আপনি কোন বিষাক্ত পোকার কামড়ের শিকার হলে হলে আক্রান্ত জায়গায় টুথপেস্ট ব্যবহারে সুফল পেতে পারেন।
  • আপনার কাপড়ে যদি কালি কিংবা লিপিস্টিক(!) লাগে,তবে সেখানে একটু টুথপেস্ট লাগিয়ে নিন এবং কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন।
  • এমনকি আপনার সিডিতে যদি স্ক্র্যাচ পরে তবে হাল্কা একটু টুথপেস্ট লাগিয়ে নিন এবং ঘষুন।
  • হীরের গয়না ও পরিষ্কার করতে টুথব্রাশে একটু টুথপেস্ট লাগিয়ে নিন এবং তারপর হাল্কাভাবে ঘষে ধুয়ে নিন।দেখবেন কেমন ঝলমল করছে গয়না।একইভাবে আপনার ঘরের সিলভারের তৈজসপত্রের ঔজ্জল্য বাড়াতে পারেন
  • ছোট বাচ্চারা ঘরের দেওয়ালকে প্রায় সময় নিজের আঁকার ক্যানভাস মনে করে আর কপাল পোড়ে গৃহকর্তার! সেক্ষেত্রে আপনি একটুকরো আর্দ্র কাপড়ে টুথপেস্ট লাগিয়ে মুছে দেখতে পারেন।
  • মিষ্টি পানীয় অর্থাৎ কোক কিংবা সফট ড্রিঙ্কস কাচের উপর শুকিয়ে দাগের সৃষ্টি করে। ভেজা ন্যাকড়ায় টুথপেস্ট লাগিয়ে সেখানে ঘষুন। দেখবেন দাগ উধাও!
  • আপনার নখের কোনা পরিষ্কারে টুথপেস্টের চাইতে ভাল কিছু খুঁজে পাওয়া দুষ্কর!