২৮ আগ, ২০১৩

১০টি ক্ষতিকারক খাদ্য উপাদান

বর্তমানের ব্যস্ত দুনিয়ায় আমরা ঘরের খাবারের চাইতে প্যাকেটজাত খাদ্যে বেশী অভ্যস্ত। কিন্তু আমাদের মধ্যে যেই অভ্যেস টা একেবারেই নেই তা হলে প্যাকেটের লেবেল পড়া এবং এর খাদ্য উপাদান গুলো জানা। বিদেশী খাবার দেখলে আমরা তো আরো লালায়িত হয়ে যাই এবং তার মান নিয়ে চিন্তাই করি না, কিন্তু বাস্তব চিত্র হলো যে বিদেশী অনেক খাদ্যেই ক্ষতিকারক খাদ্য উপাদান ব্যবহার করা হয়। এক বার দুই বার খেতে হয়তো সমস্যা নেই কিন্তু এইসব খাদ্য উপাদান যুক্ত খাবার নিয়মিত গ্রহণ আপনার মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে। এই ক্ষতিকারক খাদ্য উপাদান সমন্ধে আপনাকে সতর্ক করতেই এই পোস্ট। 
  1. Monosodium Glutamate (MSG): এটিকে আমরা টেস্টিং সল্ট নামে চিনি। এটি একটি নিউরোটক্সিক কেমিকেল যা মস্তিষ্কের কোষ গুলোর ক্ষতি এমনকি এক সময় মৃত্যু পর্যন্ত ঘটায়। নিয়মিত গ্রহণে তা মস্তিষ্কের কোষের ক্ষতি করতে করতে এক সময় মারাত্মক নিরোলজিকাল ডিসঅর্ডার সৃষ্টি করে। তাছাড়া এটি ক্ষুধা বর্ধণের মাধ্যমে ওজন বৃদ্ধিতেও সহায়তা করে। 
  2. Aspartame: এটাকে আমরা ডায়বেটিক চিনি নামে চিনি। এটিও টেস্টিং সল্টের মতো নিউরোটক্সিক কেমিকেল। এটি খাওয়ার পর শরীরের ভিতর ভেঙ্গে ফরমিক এসিড ও ফরমাল্ডিহাইড(ফরমালিনের উপাদান) তৈরী করে। ফরমাল্ডিহাইড ক্যান্সার সৃষ্টির জন্য দায়ী।
  3. High Fructose Corn Syrup (HFCS): এটি ভুট্টো থেকে তৈরী এক ধরণের সিরাপ যা চিনির বিকল্প হিসেবে বিভিন্ন তৈরী খাবারে ব্যবহৃত হয়, যেমন ড্রিঙ্কস, কর্ন ফ্লেক্স, সালাদ ড্রেসিং, প্যাকেট সূপ, দই ইত্যাদি। এটি ওজন বৃদ্ধি ঘটায়, এবং ডায়বেটিস ও আর্থ্রাইটিস (বাত) হওয়ার প্রবণতা বাড়ায়। 
  4. Agave Nectar: এটি Agave নামক একধরণের ক্যকটাস গাছ থেকে তৈরী মিষ্টি সিরাপ যা চিনির বিকল্প হিসেবে তৈরী হয়। এটি লিভারে গিয়ে ফ্যাট এ পরিণত হয় এবং ফ্যাটি লিভার নামক একটি রোগ সৃষ্টির জন্য দায়ী। এটি প্রেশার ও কোলেস্টেরল বাড়ায় এবং ডায়বেটিস ও উচ্চ রক্তচাপে সহায়তা করে। 
  5. Artificial Food Coloring: এগুলো মূলত তৈরী হয় আলকাতরা থেকে। আরটিফিশিয়াল ফুড কালার এর ক্ষতিকারক দিকের কারণে অনেক গুলোই ইতমধ্যে নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়েছে। যেই ৯ টি হয়নি, তার সবগুলোই ক্যান্সার সৃষ্টি এবং বাচ্চাদের অতি চঞ্চলতা ও মনযোগের অভাবের পিছনে দায়ী। 
  6. Butylated hydroxyanisole (BHA) and butylated hydrozyttoluene (BHT): এগুলো মূলত প্রিজারভেটিভ হিসেবে খাদ্যে ব্যবহৃত হয়। এ দুটোই International Agency for Research on Cancer এর মতে ক্যান্সার সৃষ্টির পিছনে দায়ী।
  7. Sodium Nitrite and Sodium Nitrate: এগুলো মূলত প্রিজারভেটিভ হিসেবে বোতলজাত মাংসে ব্যবহৃত হয়। মাংসে দেওয়ার পরে এটি nitrosamines এ পরিণত হয়, যা ক্যান্সার তৈরীতে সাহায্য করে। World Cancer Research Fund এর ২০০৭ সালে করা একটি গবেষনা অনুযায়ী, দৈনিক ১.৮ আউন্স nitrite যুক্ত মাংস খেলে ক্যান্সারের সম্ভাবনা ২০% বাড়ে।
  8. Potassium Bromate: এটি ব্রেড বা রোলের আয়তন বৃদ্ধিতে ব্যবহৃত হয়। তাছাড়া কিছু টুথপেস্ট ও মাউথ ওয়াশে এন্টিসেপটিক হিসেবেও যোগ করা হয়। ক্যান্সার তৈরীর পাশাপাশি এটি হরমোনাল ইমব্যালেন্স তৈরী করে।
  9. Recombinant Bovine Growth Hormone (rBGH): এটি একধরণের গ্রোথ হরমোন যা অতিরিক্ত গ্রহণে ব্রেস্ট ও কোলন ক্যান্সার হয়। তাছাড়া এটি এন্টিবায়োটিক রেসিস্টেন্স ও মেয়েদের মধ্যে অতি কম বয়সে বয়োঃপ্রাপ্তির জন্য দায়ী। বিদেশে তৈরী বেশির ভাগ দুগ্ধ জাত খাদ্যেই এটি পাবেন যদি না মাত্র প্যাকেটে লেখা থাকে –“No rGBH or rBST.”
  10. Refined Vegetable Oil: নানারকম রিফাইন্ড তেল বাজারে বিদ্যমান যেমন সয়াবিন, ক্যানোলা, সানফ্লাওয়ার, কর্ণ, পিনাট ইত্যদি। এগুলো তা তেল হিসেবে পাওয়া যায় ই তাছাড়াও বিস্কুট, চিপ্স ইত্যাদি নানা প্যাকেটজাত খাদ্য তৈরীতেও ব্যবহৃত হয়। রিফাইন্ড তেল গুলোতে একটি বিশেষ পদ্ধতিতে বীজ থেকে তেল বের করা হয়। এতে উচ্চ তাপমাত্রায় রাসায়নিক দ্রাবক ব্যবহার করা হয়। তার পরে আবার এতে ব্লীচ যোগ করা হয়। এর ফলে এর থেকে প্রাকৃতিক ভিটামিন ও মিনারেল নষ্ট হয়ে যায়। তাছাড়া এটি ফ্রি র্যা ডিকেল তৈরী করে বার্ধক্য আনয়নে দায়ী। তাছাড়া এতে অধিক পরিমানে ক্ষতিকারক ওমেগা-৬ ফ্যাটি এসিড থাকে যা তো একে ক্ষতিকারক পাশাপাশি আপনি খাদ্যের মাধ্যমে যে উপকারী ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড গ্রহণ করেন, তার গুন নষ্ট করে দেয়। এটি ডিএনএ তে ড্যামেজ ঘটায়, কোলেস্টেরল বাড়ায়, হার্টের রোগ ও ডায়বেটিস তৈরীতেও ভূমিকা রাখে।

২৫ আগ, ২০১৩

পেটের চর্বি থেকে মুক্তি

  1. এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে লেবু ও একটু লবণ দিয়ে শরবত তৈরি করে প্রতিদিন সকালে খাবেন।
  2. সকালে দুই বা তিন কোয়া কাঁচা রসুন খেতে হবে। লেবুর শরবত পান করার পরই এটি খেয়ে নিলে ভালো ফল পাওয়া যাবে। এ পদ্ধতিটি আপনার শরীরের ওজন কমানোর প্রক্রিয়াটি দ্বিগুণ গতিতে করবে। একই সঙ্গে আপনার শরীরের রক্ত সঞ্চালন হবে মসৃণ গতিতে।
  3. সকালের নাশতায় অন্য খাবারের পরিমাণটা কমিয়ে সেখানে স্থান করে দিতে হবে ফলের। প্রতিদিন সকালে এক বাটি ফল খেলে পেটে চর্বি জমার হাত থেকে অনেকটা রেহাই পাওয়া যাবে।
  4. পেটের চর্বি থেকে মুক্তি পেতে হলে পানির সঙ্গে করতে হবে বন্ধুত্ব। কেননা পানি আপনার শরীরের পরিপাক ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় এবং শরীর থেকে ক্ষতিকর সব কিছু বের করে দিতে সাহায্য করে।
  5. সাদা চালের ভাত থেকে দূরে থাকুন। এর পরিবর্তে আটার তৈরি খাবার খেতে হবে।
  6. দারুচিনি, আদা, কাঁচা মরিচ দিয়ে রান্না করুন আপনার খাবার। এগুলো শরীরের রক্তে শর্করার মাত্রা কমিয়ে রাখতে সহায়তা করে।
  7. চিনিজাতীয় খাবার শরীরের বিভিন্ন অংশে চর্বি ভূমিকা রাখে, বিশেষ করে পেট ও ঊরুতে। পেটের চর্বি থেকে রেহাই পেতে হলে চিনি এবং চিনিজাতীয় খাবারের সঙ্গে শত্রুতা ছাড়া উপায় নেই।

কোমল পানীয় না খাই


পৃথিবীর ২১টি দেশে এক গ্লাস কোক বা পেপসির মধ্য মানুষের একটি দাঁত ডুবিয়ে রেখে দেখা গিয়েছে যে, ৭ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে দাঁতটি পানীয়ের মধ্যে সম্পূর্ণ গলে মিশে গিয়েছে। কোকের মধ্যে কীটনাশক মিশানো হয় এই কারণে যাতে, দীর্ঘ দিন বোতলে থাকলেও পানিতে কোন ব্যাকটেরিয়া, ফাঙ্গাস, কীট বা পোকা না জন্মাতে পারে। তাছাড়া পানিতে থাকা জু-প্লাঙ্কটন ও ফাইটা প্লাঙ্কটন বংশ বিস্তার করতে না পারে।

কোক বা ঐ জাতীয় পানীয় খেলে কি হয়?

  • নাড়ীর ভিতরের শ্লেষ্মা ঝিল্লী বা মিউকাস মেমব্রেণ পচে যায় বা নষ্ট হয়ে যায় !!
  • নাড়ীর সংকোচণ, সম্প্রসারণ ক্ষমতা কমে যায় এবং খাদ্য থেকে পুষ্টি শুষে নেয়ার ক্ষমতা কমে যায়।
  • হজম ক্ষমতা কমে যায়, বদ হজম, ফুড পয়জনিং, গ্যাস্ট্রিক, ক্ষুদামান্দ্য, ইত্যাদি অসুখ হয়।
  • স্থায়ী কোষ্ঠ কাঠিন্য হয়।
  • অনেকের শরীরের ওজন বেড়ে ওবেসিটি হয়ে যায।
  • শরীরে চর্বির/ কোলেস্টরেল এর পরিমাণ বেড়ে যায।
  • শরীরের ক্যালসিয়াম মলিউকুল গঠন প্রক্রিয়া দুর্বল হয়ে পড়ে, হাড় দুর্বল ও নরম হয়ে যায়।
  • নারীদের প্রজনন প্রক্রিয়ায় নতুন শিশুর হাড় গঠনে ক্যালসিয়ামের অভাব হয়, নতুন শিশু প্রয়োজনীয় ক্যালসিয়াম পায় না !

আসুন এসব ভয়াবহ কোমল পানীয় বর্জন তথা সকলের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করি!