৩০ জুল, ২০১৪

সম্পর্ক মধুর করে তোলার ৬টি উপায়


প্রেম করছেন? ভাল কথা৷ করুন না৷ চিন্তার কি আছে? মাঝে মধ্যে ঝগড়া হচ্ছে চেনা মানুষের সঙ্গে? এটা তো যে কোন সম্পর্কের মধ্যে হয়৷ আপনি ব্যতিক্রম নন। আপনি কি চিন্তিত নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে? আপনার সঙ্গী আপনাকে যথেষ্ট সময় দেন না বলে মনে করেন? তাহলে সব চিন্তা ঝেড়ে ফেলে এবার জেনে নিন কিছু টিপস৷ যাতে বুঝতে পারবেন আপনাদের সম্পর্কটি পারফেক্ট কিনা।

দু’জনের মধ্যে স্বচ্ছতা আছে?
আপনার এবং আপনার সঙ্গীর সম্পর্কের মধ্যে স্বচ্ছতা আছে? মন খুলে নিজেদের ভাললাগা, খারাপ লাগার কথা দু’জনেই নিশ্চিন্তে বলতে পারেন একে অপরকে? যদি তা হয় তাহলে নিশ্চিন্তে থাকুন। সম্পর্কে স্বচ্ছতা থাকা মানে আপনারা দু’জনে সঠিক নির্বাচন করেছেন এবং এখনও ঠিকভাবেই এগোচ্ছেন।

দু’জনের মধ্যে যোগাযোগের সমস্যা?
রোজ কথা হয় একে অপরের সঙ্গে? যদি নাও হয় নিজেদের স্বাভাবিক যোগাযোগ আছে দু’জনের মধ্যে। তাহলে আর সমস্যা কোথায়? একে অপরের মধ্যে যদি স্বাভাবিক সংযোগ ও কথাবার্তা হয়, তাহলে আপনাদের মধ্যে দূরত্বের কোন কারণই নেই এবং আপনারা একদম সঠিক অবস্থানে আছেন।

দু’জনেই স্বাধীন!
সম্পর্কের ক্ষেত্রে দু’জনেরই উচিত দু’জনকে স্বাধীনতা দেওয়া। কারও উপর কারও জোর করে কিছু চাপিয়ে দেওয়া ঠিক না। কারণ দু’জনেরই ব্যক্তিগত জীবনের কিছু পছন্দ-অপছন্দ আছে। তাই সম্পর্ক ‘পারফেক্ট’ থাকার জন্য দু’জনেরই দু’জনকে ছাড় দেওয়া উচিত।

সম্পর্কে কোনও শর্ত নেই
আপনাদের দু’জনের সম্পর্ক কি কোন শর্তের উপর নির্ভর করে এগোচ্ছে? যদি আপনার সঙ্গী কোন কাজ করেছেন তাই আপনিও অন্য একটি কাজ করবেন, এই ধরনের শর্ত দিয়ে সম্পর্ক এগোন। তাহলে কিন্তু সম্পর্কটা ঠিক নেই মোটেই। আরে বাবা, প্রেমের সম্পর্ক কখনও কি কোন শর্তের উপর নির্ভর করে এগোয়? আর যদি এই ধরনের কোন শর্ত আপনাদের মধ্যে না থাকে, তাহলে তো ফার্স্ট ক্লাস, এইভাবেই চলুন দু’জনে।

বিশ্বাস
সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিশ্বাস থাকা বাধ্যতামূলক। যে সম্পর্কে বিশ্বাস না থাকে সেই সম্পর্ক কোন দিনও সুখের হয় না। সম্পর্ক ‘পারফেক্ট’ হওয়ার জন্য দু’জনেরই দু’জনকে বিশ্বাস করাটা খুব জরুরি। তাই যে সম্পর্কে দু’জনের মধ্যে বিশ্বাসটা অনেক বেশি মজবুত সেটাই ‘পারফেক্ট’ সম্পর্ক।

তৃতীয় ব্যক্তির অনুপ্রবেশ
মাঝে মধ্যেই ঝামেলা হয় পছন্দের মানুষটার সঙ্গে। কিন্তু সেই ঝামেলার কথা কি তারপর অন্য কাউকে বলে বেরান? যদি সেটা করেন তাহলে এক্ষুনি বন্ধ করে দিন। দু’জনের ব্যক্তিগত সম্পর্কে তৃতীয় ব্যক্তির অনুপ্রবেশ একেবারেই ঠিক লক্ষণ নয়। নিজেদের মধ্যেকার সমস্যা দু’জনে একসঙ্গে কথা বলে মিটিয়ে নিন, তার মধ্যে ‘থার্ড পার্সন’কে ঢুকতে দেওয়ার কোন দরকার নেই।

২৯ জুল, ২০১৪

সম্পর্কের সব একঘেয়েমি দূর করুন ৭টি উপায়ে


আপনার প্রিয়জনের সঙ্গে সম্পর্ক এক সময় একঘেয়েমিতে বিপর্যস্ত হতে পারে। কিন্তু এতে আশা হারালে চলে না। সম্পর্কের একঘেয়েমি কাটানোর কিছু উপায় আছে। এসব চর্চার মাধ্যমে বাস্তবে কিছুটা পরিবর্তন হবে এবং জীবনে ফিরে আসবে রোমাঞ্চ।

১. মনে করুন কেন তাকে ভালোবাসেন
ব্যবসা-বাণিজ্য কিংবা দৈনন্দিন নানা কাজে ব্যস্ত থাকা সহজ। আপনার শিক্ষা, কাজ কিংবা পারিবারিক নানা বিষয় আছে, যা শারীরিক ও মানসিকভাবে আপনাকে ব্যস্ত রাখে। কিন্তু এর মাঝেও আপনি যদি প্রিয়জনকে কেন ভালোবাসেন তা মনে করেন, তাহলে নিঃসন্দেহে তা একঘেয়েমি কাটাতে সহায়ক হবে। এটা কোনো কঠিন কাজ নয়। মনের গভীরে থাকা স্মৃতিগুলো একটু ঝালিয়ে নিন আর অনুভব করুন আপনার মানসিকতার পরিবর্তন।

২. সপ্তাহে একবার ডেটিং করুন
আপনাদের সম্পর্ক যত পুরনোই হোক না কেন, একসঙ্গে সময় কাটানোর প্রয়োজনীয়তা কখনোই ফুরায় না। এ জন্য প্রতি সপ্তাহে একবার অন্তত আপনার সঙ্গীর সঙ্গে একত্রে সময় কাটানোর গুরুত্ব রয়েছে। এ সময়ে একে অন্যের প্রতি গুরুত্ব দিন। আপনাদের সম্পর্ক মাত্র ২৫ দিনের হোক কিংবা দীর্ঘ ২৫ বছরেরই হোক, একসঙ্গে সময় কাটানোর গুরুত্ব কখনোই কমে না।

৩. সম্পর্ক বিষয়ে একত্রে একটি বই পড়ুন
মন খোলা রেখে সম্পর্কের বিষয়ে নতুন নতুন বিষয় শেখার জন্য প্রস্তুত থাকুন। এ জন্য সবচেয়ে ভালো হয় সম্পর্কের বিষয়ে একটি ভালো বই পড়া। এতে আপনারা পরস্পরের সঙ্গে কীভাবে ভালো যোগাযোগ করতে হয়, তা শিখতে পারবেন। এতে বেশ কিছু ফলপ্রসু আলোচনা করতে পারবেন।

৪. মজা করুন
কখনো কখনো আমরা মজা করতে ভুলে যাই। আমাদের জীবন চলে শুধুই রুটিনের মতো। খুবই ভালো হয়, এতে যদি কিছু মজা ও হাসি ঢোকানো যায়। দুজনে একত্রে কিছু মজা করুন কিংবা একটা মজার সিনেমা দেখুন একসঙ্গে। আপনি এটা দেখে অবাক হবেন যে, দুজনে একসঙ্গে মজা করাটা কতো সহজ।

৫. নিজের আগ্রহের বিষয় চর্চা করুন
অনেকেরই কোনো সম্পর্কে জড়িত হওয়ার ফলে নিজের বিষয়ে মনোযোগ দেওয়ার সুযোগ মিলে না। বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে এটি বেশি হয়। তবে শুধু একটি বিষয়ে মনোযোগ দিতে থাকলে সেখানে যোগ হতে পারে হতাশার মতো বিষয়। এ কারণে শুধু সঙ্গীর দিকে মনোযোগ না দিয়ে নিজের দিকেও মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন। আপনার নিজের আগ্রহ, শখ ইত্যাদির চর্চাও চালিয়ে নেওয়ার প্রয়োজন আছে।

৬. নিজের দিকে মনোযোগ দিন
আপনার সঙ্গী কি করবে সে বিষয়ে আপনার আগ্রহ বাদ দিয়ে নিজের দিকে আগ্রহ সরিয়ে আনুন। আপনি তার জন্য কী করতে পারছেন, কী করলে তিনি সুখী হচ্ছেন ও আপনাকে বেশি করে ভালোবাসছেন, তা লক্ষ্য করুন। এতে দুজনের সম্পর্কে নতুন মাত্রা তৈরি হবে।

৭. আগ্রহী হোন, পরস্পরের প্রতি বিশ্বাস ও আস্থা রাখুন
কখনো আমরা কোনো কারণ ছাড়াই চিন্তিত হয়ে পড়ি। ছোট কোনো ঘটনাই আমাদের বিচলিত করে দেয়। যদিও দেখা যায়, এতে উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো কোনো ঘটনাই ঘটেনি। এ জন্য মূলত দায়ী সম্পর্ক চক্র। প্রত্যেক সম্পর্কতেই উত্থান-পতনের একটি চক্র থাকে। এ চক্র অনুযায়ী কখনো সময় ভালে যাবে, কখনো খারাপ। এতে বিচলিত হওয়ার মতো কোনো বিষয় নেই। এ সময় প্রয়োজন পরস্পরের প্রতি বিশ্বাস ও আস্থা।

জীবনে বড় বড় সফলতার জন্য ছোট ছোট ২০টি টিপস



  1. দিনের পর দিন একটু একটু করে আগের চেয়ে বেশি দয়ালু এবং জ্ঞানী হওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যান।
  2. আপনি এবং আপনার পরিবারকে আগের চেয়ে একটু বেশি অর্থ সঞ্চয়ের অভ্যাস গড়ে তুলুন এবং গড়ে তুলতে উৎসাহীত করুন।
  3. ভুলবোঝাবুঝি থেকে রেহাই পেতে মাঝে মধ্যে মহান হওয়ার চেয়ে সব সময়ের জন্য ভালো মন-মানসিকতা নিয়ে চলার চেষ্টা করুন।
  4. প্রচুর পড়ুন। কোনো কিছুই খুব দ্রুত আপনাকে জ্ঞানী করে তোলে না।
  5. যোগাযোগমাধ্যমে বিশ্ব যতো এগিয়ে যাবে, আপনার খ্যাতি ততো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। কেউ না দেখলেও সব সময় সোজা পথে কাজটি করুন।
  6. মনে রাখবেন, আপনি যা করার জন্য অর্থ দেবেন মানুষ তাই করবে। যা করতে বলবেন তা করবে না।
  7. নিজের সম্পর্কে আগের চেয়ে ভালো বোধ করলে যেমন ভালো লাগে, আগের চেয়ে আরেকটু বেশি বিনয়ী হলে তেমনই ভালো লাগবে।
  8. আপনার যেকোনো প্রশ্নের জবাব কারো না কারো জানা রয়েছে। ওই মানুষগুলোকে খুঁজুন।
  9. প্রতিদিনের অসাধ্য চ্যালেঞ্জের সামনে দাঁড়ানো মানেই আপনার অহংবোধ ঝালিয়ে নেওয়ার সুযোগ। তবে এতে সামান্য মনযোগ ঢালুন। কারণ অতিরিক্ত সময় ব্যয় করলে তাতে নিজের সামর্থ্য কমে যাবে।
  10. প্রযুক্তি মাঝে মাঝে আপনার কষ্টের কারণ হয়ে উঠবে। অন্য সময় আবার এটি সাহায্য করবে। তবে বর্তমান সময়ে কী ঘটবে সে সম্পর্কে সজাগ থাকুন।
  11. যে জিনিসগুলো আর বেশিদিন কাজে লাগেব না তার প্রতি মায়া ত্যাগ করুন। এতে অন্যের সাহায্য হবে এবং এতে আপনারও ভালো লাগবে।
  12. কাউকে অপছন্দ করে মানে এই নয় যে ওই মানুষটি ভালো নয় বা ভুল পথে চলেন।
  13. নিজের চিন্তাশীলতার বিষয়ে ধ্যান দিন। কারণ আপনার চিন্তাই শব্দ হয়ে বের হবে এবং তা এক সময় আপনার কাজ হয়ে প্রতিষ্ঠিত হবে।
  14. কাউকে অন্তত তিনবার সাহায্য না করা পর্যন্ত তার কাছে থেকে কোনো সাহায্য চাইবেন না।
  15. জীবনে যা আশীর্বাদ পেয়েছেন তা নিয়ে হিসেব করবেন না।
  16. জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সফলতার শর্ত সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হওয়া।
  17. যতো সহজ-সরলই হোক না কেন, বুদ্ধিটা সিরিয়াসলি নিন।
  18. নিজের শক্তি ও সামর্থ্যের একচোট বিকাশ ঘটানোর পর সেখানেই একটু স্থিত হোন।
  19. যে মানুষগুলো চিন্তা করেন না তারা কিছু শোনেনও না।
  20. আপনার আরো অর্থের প্রয়োজন নেই। আপনার অর্থপূর্ণ কিছু আরো প্রয়োজন।

২৩ জুল, ২০১৪

মেয়েদের সম্পর্কে যে ৬টি তথ্য ছেলেদের জেনে রাখতেই হবে


একজন ছেলের পক্ষে তার সঙ্গিনী কী চিন্তা করেন এবং কী ভাবেন তা খুঁজে বের করা অনেক বেশি কঠিন। ছেলেরা কিছুতেই বুঝতে পারেন না আসলে তার সঙ্গিনী কী বলতে চাইছেন। মেয়েরা অনেক বেশি মাত্রায় আবেগী হয়। যার কারণে মেয়েরা অনেক কিছুই আচরণ প্রকাশ করতে চান, মুখে বলতে পছন্দ করেন না। কিন্তু ছেলেরা ঠিক এর উল্টোটা। ছেলেরা সব কথা মুখে বলতেই পছন্দ করেন এবং শুনতেও পছন্দ করেন। কিন্তু কি-ই বা করার আছে। এই কারণেই ছেলে ও মেয়ে সম্পূর্ণ আলাদা।

সমস্যা হলো মনের অজানা কথা বুঝতে না পারার কারণে মেয়েরা বেশিরভাগ সময় ছেলেদের উপর অভিমান করে থাকেন। এতে করে ঝামেলায় পড়েন ছেলেরা। তাই মেয়েদের মানসিকতা এবং মনোভাব সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে রাখা উচিৎ সকল ছেলেরই। এতে করে তার সঙ্গিনীকে বুঝতে বেশ সুবিধা হবে। এবং সঙ্গিনীও অভিমান কম করেই করবেন। চলুন তবে জেনে নেয়া যান মেয়েদের সম্পর্কে এমনই কিছু অজানা তথ্য।

তথ্য-১
মেয়েরা ভালোবাসা প্রকাশ করাটা অনেক বেশি পছন্দ করে থাকেন। আপনি অনেক চাপা বা লাজুক স্বভাবের হলেও নিজের ভালোবাসা প্রকাশ করুন। সেটা যেভাবেই হোক। প্রশংসা করুন, উপহার দিন কিংবা সরাসরি তাকে বলুন আপনি তাকে কতোটা ভালোবাসেন।

তথ্য-২
অনেক সময়েই মেয়েদের অভিমান পুরোটাই থাকে অভিনয়। মেয়েরা মাঝে মাঝে অভিমানের অভিনয় করে তার প্রেমিক বা স্বামীর পরীক্ষা নিয়ে থাকেন। তারা দেখতে চান তার অভিমানের মূল্য তার প্রেমিক বা স্বামীর কাছে কতোটুকু। তাই আপনি যদি নিজের সঙ্গিনীর অভিমানকে অবহেলা করতে চান তবে ভুল করবেন।

তথ্য-৩
আপনার সঙ্গিনী যদি আপনার মুখে অন্য কোনো মেয়ের নাম শুনে বিরক্ত বোধ করেন এবং কথা ঘুরানোর চেষ্টা করেন তবে অবশ্যই আপনি সেই নামটি আর মুখে আনবেন না। কারণ বেশিরভাগ মেয়েরাই নিজের পছন্দের মানুষটির মুখ থেকে নিজের নামটি ছাড়া দ্বিতীয় কোনো মেয়ের নাম শুনতে চান না একেবারেই।

তথ্য-৪
মেয়েরা গিফট খুব বেশি পছন্দ করে থাকেন। যদি কোনোভাবেই নিজের সঙ্গিনীর অভিমান ভাঙাতে না পারেন তবে তাকে গিফট করুন তার পছন্দের কোনো জিনিস। দেখবেন অভিমান খুব বেশিক্ষন ধরে রাখতে পারবেন না তিনি।

তথ্য-৫
আপনার সঙ্গিনী যদি আপনাকে ফোন দিয়ে সবসময় আপনার খোঁজ খবর নেয়ার জন্য উদগ্রীব থাকেন এবং আপনি ফোন না ধরলে মন খারাপ করেন তখন বুঝে নেবেন তিনি আপনাকে অনেক বেশিই ভালোবাসেন। এখন কথা হলো সন্দেহের জন্য খোঁজ নেয়া এবং কেয়ার করার জন্য খোঁজ নেয়া নিয়ে। যদি আপনার সঙ্গিনী সন্দেহ করেন আপনার প্রতি তাহলে তার কথার তীরের মাধ্যমেই আপনি তা বুঝতে পারবেন। আর যদি তার খোঁজ খবর নেয়ার পেছনে শুধুই কেয়ার থাকে তাহলে কথায় কোনই সন্দেহের লেশ পাবেন না। তাই এই খোঁজ খবর নেয়ার অর্থটাকে সব সময় আঠার মতো লেগে থাকা নামটি দেবেন না।

তথ্য-৬
আপনারা কথা বলার মাঝে আপনার কোনো কথার প্রেক্ষিতে যদি আপনার সঙ্গিনী আপনাকে বলেন, ‘কি বললে বুঝতে পারিনি, আবার বলো’, তাহলে তা ভুলেও দ্বিতীয়বার বলতে যাবেন না। এই কথার অর্থ হচ্ছে তিনি আপনার কথা শুনেছেন এবং বুঝেছেন কিন্তু তার কথাটি পছন্দ হয়নি। তিনি আপনাকে আবার বলো বলতে বুঝাচ্ছেন কথাটি না বলার জন্য।

নারী যে ৫টি কথা বলে, যা তার মনের কথা নয়


অনেকেই বলেন, নারীর মনের কথা ঠিকভাবে পড়া অসম্ভব। বাস্তবে এসব কথা একরকম মনে হলেও তার ভেতর নিহিত আছে ভিন্ন কোনো বিষয়। কারও সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে হলে এসব কথায় গুরুত্ব দিতে হয় এবং কথার অর্থ বোঝার চেষ্টা করতে হয়। এ ধরনের পাঁচটি বিষয় এখানে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। বাস্তবে এমন অজস্র কথাই অবশ্য পাওয়া যায়। তবে এ লেখায় দেওয়া নারীর পাঁচটি কথাকে উদাহরণ হিসেবে গণ্য করতে পারেন।

১. সে বলে, ‘আমি বিচলিত নই’
সে বোঝাতে চায় : সে অবশ্যই বিচলিত। আর পাশাপাশি সে চায়, তাকে ভালো অনুভব করতে আপনার সাহায্য প্রয়োজন।
এখানে সে যা বোঝাতে চায় যে, সে অবশ্যই বিচলিত। আর এক্ষেত্রে সে আগ্নেয়গিরির মতো সুপ্ত অবস্থায় রয়েছে। যদি আপনি এখানে কিছুটা উল্টোপাল্টা করেন তাহলে অবিলম্বে বিস্ফোরণ হতে পারে এ আগ্নেয়গিরির।

২. সে বলে, ‘বিষয়টি তোমার ওপর নির্ভর করছে’
সে বোঝাতে চায় : এটা কখনোই আপনার ওপর নির্ভর করছে না। সে শুধু বিষয়টা উল্লেখ করছে। আপনার ওপর নির্ভর করছে, এমনটা বলা হলো, আপনার জন্য একটা পরীক্ষার আয়োজন করা। এ পরীক্ষায় যদি আপনি ঠিকঠাক আচরণ না করেন তাহলে সামনে বিপদ আছে।

৩. সে বলে, ‘তুমি কেয়ার কর না’
সে বোঝাতে চায় : আপনার অনুভূতিগুলো আরও বেশি ব্যক্ত করা উচিত। সে যখন বলবে, ‘তুমি কেয়ার কর না’ তখন বুঝতে হবে আপনার আরও বেশি মনযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করছে সে। আর এজন্য তাকে আরও সময় দিতে হবে।

৪. সে বলে, ‘আমি কি দেখতে খারাপ?’
সে বোঝাতে চায় : আপনি জোর গলায় বলুন ‘না’। যখন সে তার চেহারা নিয়ে কোনো কথা জিজ্ঞাসা করে তখন বুঝতে হবে, সে প্রশংসাই চাচ্ছে। সে জানতে চাচ্ছে, আপনার কাছে সে আকর্ষণীয় কি না। আর এক্ষেত্রে নেতিবাচক কোনোকিছু শুনতে চাওয়ার প্রশ্নই আসে না।

৫. সে বলে, ‘আমাদের এখন ঘনিষ্ঠ হওয়া উচিত নয় বলেই মনে হয়’
সে বোঝাতে চায় : আপনি তাকে বিভ্রান্ত করে দিয়েছেন। যার অর্থ দাঁড়ায়, আপনার কোনো কর্মকাণ্ডে তিনি বিভ্রান্ত। আর এখন আপনার উচিত সেই বিভ্রান্তি দূর করা। আর এ লাল পতাকা আপনিই নামাতে পারবেন।

২৩ মে, ২০১৪

নারীরা যে ১০টি বিষয় মনে মনে আশা করে থাকেন প্রিয় পুরুষের কাছ থেকে


নারী পুরুষের অনবদ্য প্রেম সেই আদিকাল থেকেই চলে আসছে। হাজার হাজার বছরে বদলেছে সম্পর্কের নানা দিক, এসেছে নানা পরিবর্তন। কিন্তু পরস্পরের প্রতি সেই আদি ও অকৃত্রিম আবেদনটা কোনো ভাবেই কমেনি। নারী ও পুরুষ পরস্পরকে ভালোবাসবে আর সেটাই ধ্রুব সত্য। আচ্ছা, কী চান একজন নারী ভালোবাসার সম্পর্ক হতে? কিংবা ভালোবাসার পুরুষটির কাছ থেকে কোন ব্যাপারগুলো সবচাইতে বেশি আশা করেন একজন নারী কিন্তু মুখে বলতে পারেন না? আমাদের আজকের ফিচার নারীর সেই চাওয়াগুলো নিয়েই। খুব সহজ কিছু চাওয়া আছে, যেগুলো পুরুষের কাছে আহামরি মনে না হলেও নারীদের কাছে আসলে বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
  1. উপহার: নারীরা পুরুষদের কাছ থেকে প্রথম যে বিষয়টি আশা করে সেটি হল প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে উপহার দেয়া। নারীদের যত রাগ অভিমান সবকিছু ধূলোয় মিলিয়ে দিতে পারে একমাত্র এই উপহার। সেটি যেকোনো উপহার হতে পারে। হতে পারে ফুল, হতে পারে পুতুল, চকোলেট, কার্ড বা আরও অন্য কিছু। নারীরা এই ধরনের সারপ্রাইজ পেতে বেশ ভালোবাসেন। নিজেকে বিশেষ মনে করেন, ভাবেন যে পুরুষটি টার কথা মনে রেখেছে।
  2. দ্রুত প্রতিষ্ঠিত হওয়া: নারীরা পুরুষের কাছে আরেকটি যে বিষয় আশা করে তা হল অনেক তাড়াতাড়ি বিখ্যাত হওয়া। অর্থাৎ কোনো পুরুষ যদি খুব তাড়াতাড়ি ক্যারিয়ার গুছিয়ে মোটামুটি ভালো একটা অবস্থানে যেতে পারে তাহলে নারীরা অনেক বেশি খুশি হয় এবং তারা এটিই চায় পছন্দের পুরুষের কাছ থেকে।
  3. আকর্ষণীয় সৌজন্যতা: প্রত্যেকটি নারী পুরুষদের কাছ থেকে এ আকর্ষণীয় সৌজন্যতা আশা করে। তারা চায় পুরুষরা যেন বোঝে সৌজন্যতাবোধ কী। প্রেমের ক্ষেত্রে তো বটেই, অন্যান্য সকল সামাজিক সম্পর্কের ক্ষেত্রেও নারীরা এই সৌজন্যটা আশা করে প্রিয় পুরুষের কাছ হতে।
  4. শোনার ক্ষমতা: প্রতিটি নারীই একজন পুরুষের কাছে আশা করে যে তার কথাগুলো যেন শোনে, মূল্যায়ন করে। অনেক পুরুষ আছেন যারা নারীদের কথার কোনো দামই দেন না। কিন্তু নারীরা চায় যে তারা যা বলেন তা যেন পুরুষেরা মনোযোগ দিয়ে শোনেন।
  5. তারিখ যেন ভুলে না যায়: নারীরা অনেক বেশিই তারিখ সচেতন। যেকোনো তারিখের কথা তাদের বেশ মনে থাকেন। তাই নারীরা পুরুষের কাছে আশা করেন যেন যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ তারিখ যেমন জন্মদিন, ডেটিং, বিশেষ দিনের তারিখ মনে রাখেন এবং তাকে শুভেচ্ছা জানান।
  6. মেকআপের যথেষ্ট সময় দেয়া: নারীরা সাজতে অনেক পছন্দ করেন। তাই যেকোনো ধরনের পার্টিতে তাদের সাজগোজ করতে একটু বেশি সময় লেগেই যায়। তাই নারীরা পুরুষদের কাছে আশা করেন তারা যেন পোশাক পরার জন্য এবং সাজগোজের জন্য যথেষ্ট সময় দেন, বিরক্ত যেন না হয়।
  7. অপেক্ষা করা: অনেক পুরুষই আছেন যারা একটুতেই অধৈর্য হয়ে পড়েন। কোনোমতেই তারা অপেক্ষা করতে পছন্দ করেন না। মেয়েদের এমনিতেই কোথাও যেতে দেরী হয়ে থাকে। আর সেটি যদি ডেটিংয়ে হয় তাহলে আরও একটু বেশিই যেন হয়ে থাকে। কিন্তু এক্ষেত্রে নারীরা চায় যে পুরুষরা যেন অপেক্ষা করার মনমানসিকতা রাখে। দেরী হলেও তাদের সাথে যেন খারাপ ব্যবহার না করেন বা মনোমালিন্য না করেন।
  8. ডিনার করানো: খেতে সবারই অনেক ভালো লাগে। নারীরা ডিনার অনেক পছন্দ করেন কিন্তু ডিনারের রান্না বেশ ঝুট ঝামেলাই মনে করেন। তারা পুরুষদের কাছে আশা করেন যে রাতের খাবারটি যেন তিনি তৈরি করুন এবং তাকে খাবারে আমন্ত্রণ জানান।
  9. খেলার চেয়ে ভালোবাসাকে গুরুত্ব: পুরুষেরা খেলা অনেক পছন্দ করেন। মাঝে মাঝে খেলার জন্য স্ত্রীর সাথে ঝগড়াও করেন। এ কারণে নারীরা চান যে খেলাকে যেমন তারা অনেক বেশি ভালোবাসেন তার চেয়েও অনেক বেশি সম্মান করেন তাদের মধ্যকার সম্পর্ককে।
  10. অন্য নারীতে আসক্ত না হওয়া: নারীরা পুরুষদের কাছে সবচেয়ে বেশি যে বিষয়টি চান সেটি হল অন্য কোনো নারীতে তারা যেন আসক্ত হয়ে না পড়েন। একজন পুরুষ খুব স্বাভাবিক নিয়মে অন্য নারীর প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েন। ফলশ্রুতিতে সম্পর্কে বিচ্ছেদ। এজন্য এই বিষয়টি যেন না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে চান তারা এবং পুরুষদের কাছে এটি থেকে বিরত থাকা আশা করেন।

৩ মার্চ, ২০১৪

পেটের মেদ কমানোর আদর্শ উপায়


পেটের মেদ আমাদের অনেকের জন্যই অনেক বড় একটা সমস্যা। এই মেদ যেমন আমাদের শরীরের জন্য যেমন ক্ষতিকর, ঠিক তেমনই আমাদের শারীরিক আক্রিতির জন্য অসুন্দর ।

পেটের মেদ লিভার, কিডনি ও অন্যান্য অভ্যন্তরীণ অঙ্গের সাথে লেগে জমে থাকে, যা অনেক সময় প্রাণঘাতি হয়ে দেখা দিতে পারে। পেটের মেদের সাথে হার্টের সমস্যা থেকে শুরু করে ডায়াবেটিস ও অন্যান্য সমস্যার জোরালো সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া যায়।

আমরা অনেকেই পেটের মেদ কমানোর জন্য বেলি স্ট্রোক অর্থাৎ পেটের মাংশ পেশীর ব্যায়াম করে থাকি। এর ফলে পেটের মাংশ পেশীর টোন বা আকৃতি সুন্দর হলেও পেটের মেদ কমাতে তা খুব একটা কাজে দেয় না। পেটের মেদ কমাতে হলে প্রয়োজন পুরো শারীরিক ব্যায়াম।

আমাদের মনে রাখতে হবে, ৪০ থেকে ৪৫ মিনিট হালকা জগিং বা জোরে হাটার পর রক্তে চলমান ফ্যাট শেষ হয়ে দেহে সঞ্চিত ফ্যাট ভাঙতে শুরু করে। তাই এই ৪০ বা ৪৫ মিনিটের পর আপনি যদি ১০ বা ১৫ মিনিট ও জগিং বা জোরে হাঁটতে পারেন, তাহলেই প্রতিদিন একটু একটু করে আপনার জমানো চর্বি কমতে থাকবে।

তবে প্রথম দিনই ৪০-৪৫ মিনিট জগিং শুরু করবেন না। এর ফলে আপনার শরীরে ব্যথা হতে পারে, ফলে আপনি পরবর্তীতে ব্যায়াম করার আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারেন। তাই প্রথম দিন ১০ মিনিট, পরের দিন ২০ মিনিট এভাবে সময় বাড়ান এবং ১ ঘণ্টাতে স্থির  থাকুন। মনে রাখবেন, অতি দ্রুত ওজন কমানো গেলেও এতে হিতে বিপরিত হতে পারে। ওজন কমানোর মূল মণ্ত্র হল মটিভেসন ও একাগ্রতা।

এর পাশস্পাশি খাবারে প্রচুর পরিমাণে আঁশ জাতীয় খাদ্য যেমন শাক সবজি থাকতে হবে। চর্বি জাতীয় খাবার কম খেতে হবে এবং ফাস্ট ফুড খাওয়া বন্ধ করতে হবে।

২৯ জানু, ২০১৪

ভারতীয় সিরিয়াল ধ্বংস করে দিচ্ছে আমাদের জীবন


সূক্ষ্ম চালে ইন্ডিয়ান হিন্দি এবং বাংলা সিরিয়াল গুলো ধ্বংস করে দিচ্ছে আমাদের জীবন। সন্ধ্যার পরে কোনো কিছুইতেই আর মন বসতে চায় না। ঠিক সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত দুনিয়ার সব কাজকর্ম বাদ দিয়ে একটাই কাজ হলো ভারতীয় "হিন্দি সিরিয়াল" বা "বাংলা সিরিয়াল" দেখা। প্রতিদিনই নতুন নতুন পর্ব আর ঘটনার চমকের কারণে নেশা হয়ে গিয়েছে সিরিয়ালের। এক দিন দেখতে না পারলেই মনটা খারাপ হয়ে যায়। তখন বান্ধবীদের থেকে ঘটনা শুনে নিতে হয় অথবা পুনঃপ্রচার দেখতে হয়।

এমন ভয়ংকর নেশায় মত্ত হয়ে আছে বাংলাদেশের অধিকাংশ নারী। স্টার প্লাস, স্টার ওয়ান কিংবা জি টিভিতে চলা এই সিরিয়ালগুলো নারীদের কাছে খুবই জনপ্রিয়। এমনকি অনেক পুরুষও আজকাল দেখছেন এসব সিরিয়াল গুলো। ঢাকার পাশাপাশি মফস্বল শহরেও ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভারতীয় সিরিয়াল আসক্তি। আর এই সিরিয়ালের বিষাক্ত ছোবলের ভয়ঙ্কর প্রভাব পড়ছে আমাদের সমাজের উপরে। আসুন জেনে নেয়া যাক ভারতীয় হিন্দি বা বাংলা সিরিয়ালের সেই বিরূপ প্রভাব গুলো, যা মূলত ধ্বংস করছে আপনার, আমার, আমাদের সবলের জীবন!

  1. সংসারে ‘কুটনামি’ করে অশান্তি বৃদ্ধি করা: এই সব সিরিয়ালের মূল উপাদান নিঃসন্দেহে কুটনামি। প্রতিদিনই সিরিয়ালে দেখানো হচ্ছে শাশুড়ি-বৌ এর কুটনামি, দুই জা এর কুটনামি কিংবা পরিবারের অন্যদের সংগে ষড়যন্ত্র ও কুটনামি। সিরিয়ালে দেখানো এসব ঘটনা ‘স্লো পয়জন’ এর মত কাজ করছে নারীদের ওপর। নিজের অজান্তেই কুটনামি করা শিখে ফেলছেন নারীরা। এক পর্যায়ে মনের বিকৃতির কারণে কুটনামি করেই বিকৃত রূচির বিনোদন পাচ্ছেন আমাদের সমাজের কিছু সংখ্যক এই সব হিন্দি/বাংলা সিরিয়াল প্রেমী নারী।
  2. সাধারণ বিষয়কেও জটিল মনে করে মানসিক চাপে ভোগা: সিরিয়াল গুলোতে অনেক সাধারণ একটি বিষয়কেও জটিল করে দেখানো হয়। আর তাই যারা নিয়মিত এই সব ভারতীয় সিরিয়াল দেখে তাদের কাছে খুব সহজ, সাধারণ একটি বিষয়কেও অনেক বেশি জটিল ও কুটিল মনে হতে থাকে। ফলে অযথাই মানসিক চাপ বৃদ্ধি পায় তাদের।
  3. অন্যের সম্পর্কে আলোচনা-সমালোচনা করা: ভারতীয় সিরিয়ালের দেখা দেখি একের কাছে অন্যের সমালোচনা করার প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে সমাজে। বান্ধবীদের কাছে, বোনদের কাছে কিংবা অন্য কারো কাছে সমালোচনা করে আনন্দ পাচ্ছে নারীরা। কে কী পোশাক পরছে, কার কত টুকু সম্পত্তি আছে, কার সন্তান আছে কার নেই ইত্যাদি অনধিকার চর্চার অভ্যাস বাড়ছে।
  4. ভারতীয় সংস্কৃতির বিরূপ প্রভাব: আমাদের দেশের বিয়ের অনুষ্ঠান, জন্মদিন, ঈদ, পূজা, সম্পর্ক সব কিছুতেই পড়েছে এই সব ভারতীয় সিরিয়ালের প্রভাব। হিন্দি সিরিয়ালের দেখা দেখি অনেক বেশি জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠান করা কিংবা ভারতীয় প্রথা অনুসরণ করার কারণে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে নিজস্ব দেশীয় সংস্কৃতি।
  5. অতিরিক্ত সাজ পোশাক ও মেকআপ করার প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়া: হিন্দি সিরিয়ালের নায়িকারা মেকআপ করে ঘুমাতে যায়, ঘুম থেকে ওঠে,শপিং যায়। এমনকি গোসল করে আসার পরেও মেকআপ করা থাকে। আর তাই ভারতীয় সিরিয়াল আশক্ত নারীদের মধ্যেও অতিরিক্ত মেকআপ করা ও ভারতীয় সিরিয়ালের নায়িকাদের মত দামী দামী জবরজং সাজ পোশাক পড়ার প্রবণতা লক্ষ্য করার মত বাড়ছে।
  6. লোক দেখানো কাজ করা: কার কত দামী শাড়ি আছে, অমুক সিরিয়ালের নায়িকার স্টাইলের শাড়ি, তমুক সিরিয়ালের নায়িকার গলার হার ইত্যাদি এই সব ভারতীয় সিরিয়ালের ভক্ত নারীদের ধ্যান-জ্ঞান হয়ে দাঁড়িয়েছে। কার চাইতে কে বেশি খরচ করে এসব কিনতে পারবে ও বান্ধবীদেরকে দেখাতে পারবে না নিয়ে রীতিমত প্রতিযোগিতা হয় নিজেদের মধ্যে। অসুস্থ এই প্রতিযোগিতায় যারা হেরে যায় তাদেরকে কটাক্ষ করতেও দ্বিধা করে ভারতীয় সিরিয়াল আসক্ত এই নারীরা।
  7. পরকীয়ার প্রবণতা: ভারতীয় হিন্দি/বাংলা সিরিয়ালে অহরহই যে বিষয়টি দেখাচ্ছে তা হলো পরকীয়া। প্রতিটি সিরিয়ালেই পরকীয়া হলো ঘটনার একটি মূল উপাদান। নৈতিকতা বিরোধী এই সম্পর্ক অতিরিক্ত দেখার কারণে বেশ স্বাভাবিক মনে হচ্ছে গৃহিণীদের কাছে। তাই একটু সুযোগ পেলেই পরকীয়ায় লিপ্ত হচ্ছে অনেক নারী। এমনকি অনৈতিক শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে যাচ্ছে অনেক নারী।
  8. পড়াশোনায় অপূরণীয় ক্ষতি: স্কুল, কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া অনেক মেয়েরা ও কিছু সংখ্যক ছেলেরাও ভারতীয় সিরিয়ালে আসক্ত। প্রতিদিন পড়াশোনার মূল সময়টি তারা নষ্ট করে ভারতীয় এই সব বাংলা ও হিন্দি সিরিয়াল দেখে। তাদের মা, নানি, দাদিরাও সেই সময়ে বসে সিরিয়াল দেখে বলে সন্তানদেরকে মানা করতে পারে না। ফলে তাদের পরীক্ষার ফলাফল খারাপ হচ্ছে এবং অনেক ক্ষেত্রে কম বয়সেই ঝরে পড়ছে পড়াশোনা থেকে।